নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে স্ত্রী লিমা আক্তার (২৬) এর পরকিয়ার জেরে স্বামী রুবেল মিয়া (৩৩) এর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সকালে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দক্ষিণ চরপাড়া এলাকার স্ত্রীর ভাড়া বাসায় এ বিষপানের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। নিহত রুবেল মিয়া পাশের উত্তর টেঙ্গরপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রুবেল প্রায় ৪ বছর আগে দক্ষিণ চরপাড়ার বাদল মিয়ার মেয়ে লিমা আক্তারকে বিয়ে করে। তাদের ঘরে আড়াই বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ছয় মাস ধরে স্ত্রী লিমা আক্তার দক্ষিণ চরপাড়া এলাকার অন্তর নামে দুই সন্তানের পিতার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় স্বামী রুবেলের সাথে স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলনা। এমন পরিস্থিতিতে লিমা আক্তারকে গতকাল শুক্রবার সকালে দক্ষিণ চরপাড়ার বাসা থেকে পরকিয়া প্রেমিক তার মায়ের বাসা মাধবদীতে নিয়ে যায়।এ খবর জানাজানি হলে সন্ধার দিকে অন্তরের স্ত্রী ও রুবেল দুজন মিলে রিমা আক্তারকে নিয়ে আসতে মাধবদীতে যায়। পরে মাধবদী থেকে রিমাকে ঘোড়াশালের দক্ষিণ চরপাড়ার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে আজ সকালে কোন এক সময় রুবেল বিষপান করে। পরে স্ত্রী রিমা তাকে হাসপাতালে না নিয়ে উত্তর টেঙ্গরপাড়া গ্রামে শশুর বাড়িতে নিয়ে যায়।সেখান থেকে পরিবারের লোকজন প্রথমে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নরসিংদীর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রুবেলকে নরসিংদী থেকেও ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। কিন্তু রুবেল কিছু কথা বলতে পারে এমনটা ভেবে ঢাকা না নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হারুন অর রশীদ জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পারি অন্তর নামে এক ছেলের সাথে লিমা আক্তারের পরকিয়া সম্পর্কের জেরে রুবেল মিয়া বিষপানে আত্মহত্যা করে। দুপুরে খবর পেয়ে নিহত রুবেলের বাড়িতে গিয়ে লাশের সুরতহাল করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে। অন্তর পলাতক রয়েছে।