1. admin@jonogonerbani.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন

পলাশের তৃণমূল আ.লীগ সৈয়দ জয়নাল কে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায়

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২

জীবে দয়া করে যে’জন সেবিছে ঈশ্বর-চিরনন্দিত বাক্যটি সামনে রেখে দেশ-মাটি ও মানুষের জন্যই, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পথচলা। মানুষ বাঁচে তার কর্মে বয়সে নয়। কর্ম যদি ভালো হয় তবেই সে নিজেকে স্থান করে নিতে পারে সকলের হৃদয়ে। আওয়ামী পরিবারের সন্তান সৈয়দ জয়নাল হোসেন-পরিক্ষিত রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের হৃদয়ের মানুষ।একজন রাজনৈতিক নেতার প্রায় সকল গুণাবলী বিদ্যমান রয়েছে উনার মাঝে। জীবনের ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো যিনি নিজের বা তার পরিবারের চেয়ে?দলের ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের কথা ভেবেছেন। যার সমসাময়িক সহপাঠীরা এখন অনেকেই ইঞ্জিনিয়ার,শিক্ষক,ডাক্তার,শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ কে ভালোবেসে যিনি কোন চাকরী বা ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে পারেন নি। শুধু মাত্র রাজনীতি নিয়ে যার জীবন অতিক্রম হচ্ছে।এই সাদা সিদে জীবনের নেতা চাইলে অনেক কিছুই হতে পারতেন, কিন্তু তার নির্মোহ রাজনৈতিক জীবন এক দৃষ্টান্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে অনেক সুযোগ ছিলো তার এই রাজনৈতিক জীবনে। হতে পারতেন প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যবসায়ী কিংবা থাকতে পারতেন আরো বড় কিছুর নেতৃত্বে। কিন্তু প্রভাব-প্রতিপত্তি তাকে ছুঁতে পারেনি। রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছাড়া আর কিছুই বুঝতে চান না। অবশ্য রাজনীতিকে কেন্দ্র করেই সবরকম প্রভাব-প্রতিপত্তি গড়ে ওঠে। এটাই আজকের দিনের স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এই ব্যক্তির বেলায় চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। ব্যক্তিগত জীবনের দৈন্যদশা চুকিয়ে ফেলার সুযোগ এসেছিলো অনেকবার। কিন্তু তিনি সেসব প্রস্তাব লুফে নেননি একমাত্র রাজনীতিকে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলেন বলে। এক নজরে সৈয়দ জয়নাল হোসেন:এর রাজনৈতিক জীবনী : ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক(১৯৯১-১৯৯৩)ঘোড়াশাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি(১৯৯৩-১৯৯৯) ঘোড়াশাল পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি (১৯৯৯–২০০৪)ঘোড়াশাল পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি(২০০৬-২০২০) ঘোড়াশাল পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহব্বায়ক(২০২২ চলমান),পলাশের সাবেক সাংসদ কামরুল আশরাফ খাঁন পোটন এবং ঘোড়াশাল পৌর মেয়র ও পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মুজাহিদ হোসেন তুষার এর ঘনিষ্ঠ সহচর।বর্তমানে তিনি টেংগর পাড়া শাহী জামে মসজিদ, হাজী আয়েত আলী মোহাম্মদিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা,ফোরকানিয়া মাদরাসা, ঈদগাঁহ এর সাধারণ সম্পাদক। টেংগর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন বারের অভিভাবক সদস্য,ঘোড়াশাল ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা। পূর্ব ঘোড়াশাল চামড়াবো হাফিজিয়া মাদরাসার উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। জয়নাল হোসেন এর পিতা-মরহুম সুলতান আহমেদ যিনি ছিলেন,দীর্ঘ ২৮ বছর ঘোড়াশাল ইউনিয়ন পরে ঘোড়াশাল পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি-এবং প্রয়াত জননেতা-হাসানুল হক হাসান সাহেবের ঘনিষ্ঠ সহচর। ছোট ভাই,শহীদ ছাএলীগ নেতা-আনোয়ার হোসেন আনু ২০১৩ সালে বিএনপি-জামাত ক্যাডারদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয় কিন্তু আ.লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতা থাকার পর খুনের বিচার হয়নি। আদালতে মামলা চলমান। ঘোড়াশাল-পলাশের রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করে যার কৈশর-যৌবন জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন। বিএনপির ক্যাডারদের হাতে জয়নাল নির্যাতিত হয়েছেন বহুবার। হয়েছেন-বিএনপি র আমলে ডজন খানেক মামলার আসামি। আওয়ামীলীগ আজ দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষমতায়-চারদিকে হাইব্রিটের জয়ধ্বনি। কূল কিনারাহীন,অসচ্ছল ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগ সরকারের কল্যানে লাখ এবং কোটিপতি কেউবা হয়েছেন আবার বিশাল ধনকুপের মালিক। এর বিপরিতে হাজার হাজার জয়নাল’রা হাড়িয়েছে- জীবনের সোনালী সময়,অর্থ বিত্ত,পরিবার সন্তান।আওয়ামীলীগ থেকে কি পেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে জয়নাল হোসেন বলেন-দল থেকে কিছু পাইনি তাতে কি”দেশের মানুষ তো ভালো আছে। জননেএী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বিএনপি-জামাতের অত্যাচার থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। গরীব দুঃখী মানুষগুলো দু-বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পাচ্ছে-সেটাই”বা কম কিসে-? আমরা তো এটাই চেয়েছিলাম।

আরো খবর দেখুন এখানে
© জনগণের বাণী | আইটি সহায়তাঃ সাব্বির আইটি
Developed By Bongshai IT