গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন পৌর ৬নং ওয়ার্ডের ভাদগাতী ঐতিহ্যবাহী হযরত সৈয়দ শাহ্ বায়জিদ( রহঃ) বোগদাদি মাজার পরিচালনা কমিটি ও যুব সমাজের উদ্যোগে বাৎসরিক ওরশ উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিল ও দোয়া শেষে তবারক বিতরন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী)সকালে কোরান তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় বাৎসরিক ওরশের আনুষ্ঠানিকতা।স্তানিয় মক্তবের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কেরাত,হাম,নাত,গজল প্রতিযোগিতা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বাদ আছর হতে ঐতিহ্যবাহী হযরত শাহ্ বায়েজিদ ( রহঃ) মাজারের বাৎসরিক ওরশ উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিল ও তবারক বিতরনে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজ সেবক মোঃ লোকমান হোসেন পনিরের সার্বিক তত্বাবধানে, ঢাকা কোটিজি গ্লোবস (বিজিএমইএ)মেম্বার মামুন মাহামূদ জুয়েল মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র এস এম রবিন হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ আনিছুর রহমান, কালীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল-আমীন দেওয়ান মাদানি,পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান আশরাফী খোকন,
সে,কে,জি,ই রিয়েল এস্টেট ম্যানেজার মোস্তাক আহমেদ।শাহজালাল (আরবি: شاه جلال; ১২৭১ – ১৩৪১) ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি দরবেশ। তার পুরো নাম শেখ শাহ জালাল কুনিয়াত মুজাররদ। ৭০৩ হিজরী মোতাবেক ১৩০৩ খ্রিষ্টীয় সালে ৩২ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে অধুনা বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তার সিলেট আগমনের সময়কাল নিয়ে যদিও বিভিন্ন অভিমত রয়েছে, তদুপরি শাহ জালালের সমাধির খাদিমগণের প্রাপ্ত ফার্সি ভাষার একটি ফলক-লিপি থেকে উল্লেখিত সন-তারিখই সঠিক বলে ধরা হয়।[১] ফার্সি ভাষায় লিখিত ফলক-লিপি বর্তমানে ঢাকা
যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।[২] সিলেটে তার মাধ্যমেই ইসলামের বহুল প্রচার ঘটে।[১][২][৩][৪] সিলেট বিজয়ের পরে শাহ জালালের সঙ্গী-অনুসারীদের মধ্য হতে অনেক পীর-দরবেশ এবং তাদের পরে তাদের বংশধরগণ সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসবাস করেন।
শাহজালাল ও তার সফরসঙ্গী ৩৬০ জন আউলিয়ার আগমন সিলেটের ইতিহাসে একট উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তাদের কারণেই সিলেটকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়। সিলেট বিজয়ের পরে শাহ জালালের সঙ্গী অনুসারী অনেক পীর দরবেশ সিলেটের আশ-পাশ শহর, জেলা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচার করেন।[৭১] সৈয়দ হজরত শাহ্ বায়েজিদ( রহঃ) গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর ৬নং ওয়ার্ডের ভাদগাতী গ্রামে তিনি আস্তানা করে ইসমাইল প্রচার করেন।এবং এখানেই শেষ নিশ্বাস তেগ করেন।
হাফেজ হাবিবুর রহমান, হাফেজ নূর হোসেন, হাফেজ জাহাঙ্গীর এদের পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসাবে তাকরীর পেশ করেন সোনারগাঁও বাইতুল নূর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি কাদের মাহামুদ আনসারী। ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিন খান অনুষ্টানের উদ্বোধন করেন।
বিশেষ বক্তা হিসাবে তাকবীর পেশ করেন
চৌড়া শাহকার ফরমা (রঃ) দরগার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হজরত মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দীন মাহামুদী, গাজীপুরের কালীগঞ্জ ভাদগাতী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কুতুবউদ্দিন।
ওয়াজ মাহফিলের প্রধান বক্তা সোনারগাঁও বাইতুল নূর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি কাদের মাহামুদ আনসারী শত শত ধর্মপ্রাণ মুসুল্লী ও অলির ভক্তবৃন্দদের নিয়ে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও মুক্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করেন।মোনাজত শেষে অলির ভক্তবৃন্দ ও মুসুল্লিদের মধ্যে তাবারক বিতরণ করে ওরশ ও ওয়াজ মাহফিলের সমাপনী করেন।
যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিল সফল হয়েছে, কালিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবিদ খান ছোটন,ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির,আব্দুল কাদির, কাজি নোমান, সাংবাদিক সহোরাব আলী সরকার ,ভক্ত সুরুজ খান,মনির, মাহাফুজসহ ও অলির শত শত ভক্তবৃন্দ।