নরসিংদী জেলার মাধবদী এলাকার চাঁদাবাজি মামলার আসামি স্বপন সরকার দির্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে গতকাল শুক্রবার তাকে গ্রেফাতার করেছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। আদালত ও মামালা সূত্রে জনা যায়, বাবুল মল্লিক ও সুমন মল্লিক উভয় পিতা রামানন্দ মল্লিক সাং পাচঁদোনা থানা মাধবদী জেলা নরসিংদী এবং তাহাদের সহযোগী স্বপন সরকার সহ অজ্ঞাতনামা কথিত চাঁদাবাজরা দীর্ঘদিন যাবত মাধবদী বাজারের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আনন্দ ইয়ার্ন ট্রেডিং এর সত্বাধীকারী বিনয় দেবনাথের নিকট ১কোটি ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে বলিয়া জানা যায়। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আনন্দ ইয়ার্ন ট্রেডিং এর সিইও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চিত্তরঞ্জন পাল নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করিলে, উক্ত মামলাটি মাধবদী থানার মামলা নং- ১(৬)২০২২ রুজু হয়। মামলাটি মাধবদী থানা তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি অধিক তদন্তের জন্য পিবিআই নরসিংদী বরাবরে প্রেরণ করেন। নরসিংদী পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক জামাল উদ্দিন খান মামলার অধিক তদন্ত শেষে ঘটনার বিষয় প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় আসামি বাবুল মল্লিক স্বপন সরকার ও সুমন মল্লিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র নং-১২ তারিখ ২৬/০১/২০২৩ ধারা ১৪৩/৪৪৮/৪২৭/৩২৩/৩৮৫/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোড দাখিল করেন। ০৫/০৩/২০২৩ তারিখ বিজ্ঞ আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করিয়া আদালতে জামিনের জন্য উপস্থিত আসামি বাবুল মল্লিক ও সুমন মল্লিকের জামিন নামাঞ্জুর করিয়া জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অপর পলাতক আসামী স্বপন সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ক্রোকের আদেশ প্রদান করেন। উক্ত আসামী স্বপন সরকার পলাতক থেকেই বিনয় দেবনাথ কে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছে বলে জানা যায়। অবশেষে গতকাল স্বপন সরকার কে গ্রেফতার করেছে রুপগঞ্জ থানা পুলিশ। অনুসন্ধানকালে জানা যায়, আসামি বাবুল মল্লিক, সুমন মল্লিক ও স্বপন সরকার উল্লেখিত কথিত চাঁদাবাজি মামলার দায় হইতে বাঁচার জন্য ব্যবসায়ী বিনয় দেবনাথও মামলার বাদি চিত্তরঞ্জন পাল ও বিনয় দেবনাথের নিকটতম লোকজন প্রবীর ও বলাই পালের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রো পলিটিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা নং ৭৩/২২ বিজ্ঞ নরসিংদী আদালতে সিয়ার মামলা নং-৮০/২৩ সহ জেলা প্রশাসক নরসিংদী বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন বাবুল মল্লিক। ঢাকার পিটিশন মামলা নং ৭৩/২২ বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। উক্ত আসামিদের একমাত্র পেশা চাঁদাবাজি ও নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা। এই সকল ঘটনার পূর্বে আড়াই হাজার গৌরাঙ্গ চন্দ্র বণিকের ছেলে বাদল চন্দ্র বনিক ভগীরথপুর এর কানাই পাল আড়াইহাজার এর সৈয়দ মোহাম্মদ ইসমাইল ও সৈয় দ অহিদুল হক হিরু, মাধবদীর রিপন ভুঁইয়া ডাঙ্গা বাজারের কাশেমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় জমি বেদখলের চেষ্টা সহ মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়া হয়রানি করিয়াছে বলিয়া জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নিরীহ লোকজন জানায় যে, বাবুল মল্লিক, সুমন মল্লিক ও স্বপন সরকারের কথিত চাঁদাবাজি ও হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা এবং অভিযোগ থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।