নরসিংদীতে আসছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সকালে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানাসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। বিকালে মোসলেহ উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত দলীয় জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ ১৯ বছর পর দলীয় সভানেত্রীর নরসিংদী আগমন উপলক্ষে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও জেলা আওয়ামী লীগ।
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সারকারখানা প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির মেয়াদের দুই মাস আগেই শেষ হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সারকারখানার নির্মাণ কাজ। কারখানাটিতে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন কার্যক্রম। দৈনিক ২৮ শত মেট্রিক টন ও গড়ে বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে কারখানাটিতে।রোববার সকালে উপস্থিত হয়ে কারখানাটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য শেষে বিকালে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন নরসিংদীর মোসলেহ উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায়। এ উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। জনসভাকে সুন্দর ও সু-শৃংঙ্খল করতে প্রায় শেষ হয়েছে মঞ্চ তৈরির কাজ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন বলেন, স্টেডিয়াম মাঠে ৫০ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা হলেও জনসভাকে ঘিরে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘ ১৯ বছর পর দলীয় সভানেত্রীকে সরাসরি দেখার সুযোগ হওয়ায় আনন্দিত দলীয় নেতাকর্মীরা। সবশেষ ২০০৪ সালে নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।পুলিশ সুপার মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা। দায়িত্ব পালন করবে সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে নরসিংদীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধনের পর জনসভায় নরসিংদী জেলায় নবনির্মিত ও সমাপ্ত দশটি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এ দশটি প্রকল্পের মধ্যে ৮টি শিক্ষা সংক্রান্ত এবং বাকি দুটি প্রকল্পের একটি স্থানীয় সরকার বিভাগ ও আরেকটি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সংক্রান্ত।জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন ১১ তারিখ আগের দিন যাদেরকে যেখানে, ১২ তারিখে প্রধানমন্ত্রীকে রিসিভ করে স্পটে নিয়ে যাওয়াসহ যেরকম ভাবে কার্যবিধি সম্পন্ন করা হবে ঠিক সেভাবেই আগেরদিন সিকুয়েন্স অনুযায়ী রিহার্সাল করা হবে। এ ব্যাপারে আমাদের সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয়দের প্রত্যাশা, এবারের সফরে নরসিংদীবাসীর দাবি পূরণে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের ঘোষণা দিবেন প্রধানমন্ত্রী। অপরদিকে শিল্পঞ্চলখ্যাত মাধবদী থানাবাসীর চাওয়া মাধবদীকে উপজেলা ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী।