নাজমুল হক মণি:বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আমরা অবশ্যই সংস্কার করবো, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলো নিজেকে আগে সংস্কার করা। যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে সৎ ও নীতিবান মানুষ হিসেবে সংস্কার না করতে পারবো ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন, সংবিধান, বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে যতই সংস্কার করি কোন সংস্কারে কাজে আসবে না।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৮টায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাংগা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৭দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহা সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন।
ড. আবদুল মঈন খান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলেন, আপনারা এমন সংস্কার করুন যে সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ নিজেদের সংস্কার করবে, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক সাম্য ফিরিয়ে আনবে এবং এদেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনবে।
ডাংগা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মানিক মিয়া’র সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পলাশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, ডাংগা আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনের মহাসচিব ও ভোলাব ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাংগা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, কোষাধ্যক্ষ ও ডাংগা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীন,যুগ্ম মহাসচিব ও ডাংগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন রোমান, প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক ডাংগা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ মো: ইকবালসহ সহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এদিকে মহাসম্মেলনে আগত মুসুল্লি ষাটোর্ধ জব্বার বলেন, এই ইসলামী মহাসম্মেলন বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার সম্মেলন মঞ্চে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হওয়ায় অনেক সুন্দর হয়েছে। আমি অনেক খুশি। হান্নান নামের এক মুসুল্লি বলেন, এই প্রথম ঝগড়াঝাটি ছাড়া সম্মেলন দেখলাম। খুব ভালো লেগেছে। চারি-তালুকের বাসিন্দা সাবরিনা নামে এক মহিলা বলেন,নিরাপত্তা ব্যবস্হা খুব ভালো। নির্ভয়ে বাড়ি যাচ্ছি, আসছি।এরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন সবসময়ই থাকে। আমি সম্মেলন কমিটির মঙ্গল কামনা করি।পাইকারদী থেকে আগত খেলনা বিক্রেতা রমিজ উদ্দিন বলেন, এবার সম্মেলনে দোকানে কোন চাঁদাবাজি নেই।আমরা দোকানদারা খুব ভালোভাবে ব্যবসা করেছি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।আমি সম্মেলন কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই।
মহাসম্মেলন শেষে দেশ ও জনগণের মঙ্গল কামনা করে আখেরী মোনাজাত করা হয়।পরে ডাংগা আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি জোরালো নিরাপত্তার মাধ্যমে সম্মেলনে আগত মুসলিম নারী পুরুষের নির্ভয়ে বাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্হা করেন।