নরসিংদীর মনোহরদীতে মোহাম্মদ রাকিব (২১) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রাকিবের বাবা সিরাজ উদ্দিন এবং চাচাতো বোন পাপ্পি গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত রাকিব একটি কম্পানীর গাড়ি চালক ছিল।এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক সাইফুল ইসলাম (২২), তার মা নাছিমা বেগম (৪০) এবং খালা তাছলিমা বেগম (৩৮) কে আটক করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত রাকিবের ছোট বোন তামান্না এবং আসামি তাছলিমার মেয়ে নাদিয়া স্থানীয় একটি মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়াশোনা করে। গত রবিবার মাদরাসা থেকে ফেরার পথে তামান্না খেলার ছলে নাদিয়াকে চুলকানি (চোরতা) পাতা লাগিয়ে দেয়। পওে নাদিয়া বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি কওে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এতে তাছলিমা ক্ষিপ্ত হয়ে তামান্নার বাড়িতে গিয়ে গালাগাল করে। পরদিন (সোমবার) রাত ১০ টার দিকে তাছলিমা, তার বোন নাছিমা এবং ভাগিনা সাইফুল ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়ির অদূওে সিরাজ উদ্দিনের দোকানে এসে পুনরায় গালাগাল করতে থাকে। তাদের গালাগাল শুনে সিরাজের ছেলে রাকিব ও ভাতিজি পাপ্পি আক্তার ঘটনাস্থলে আসেন। পরে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। একপর্যায়ে সাইফুল উত্তেজিত হয়ে সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে পাপ্পির পেটে আঘাত করে। পাপ্পিকে রক্ষা করতে সাইফুলের হাত ধরতে যায় রাকিব। এসময় নাছিমা এবং তাছলিমা রাকিবকে ঝাপটে ধরলে সাইফুল ছুরি দিয়ে তার বুকে উপর্যুপরি আঘাত করে। রাকিবকে বাঁচাতে তাঁর বাবা এগিয়ে আসলে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার কওে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাপ্পিকে সেখানে ভর্তি করেন এবং রাকিব ও সিরাজকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পথে রাকিব মারা যায়। গুরুতর আহত সিরাজ উদ্দিনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত কওে জানান, ‘এ ঘটনায় নিহত রাকিবের মা রেনুজা বেগম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’