প্রথমবারের মতো দেশে পৌঁছালো ভারত থেকে আমদানি করা ২৫ লাখ লিটার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল। শনিবার সকালে নরসিংদীর ঘোড়াশালে বেসরকারি কোম্পানি এ্যাকোয়া রিফাইনারীর জেটিতে এসে পৌঁছেছে এই তেল। এতে দেশের জ্বালানী তেল সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ায় পর থেকেই বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে জ্বালানি তেল সংকট। প্রতিবন্ধকতা শুরু হয়েছে জ্বালানি তেল আমদানি রফতানির ক্ষেত্রেও। সংকটের কারণে অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও ইতিমধ্যেই তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। চরম এই সংকটের মধ্যে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় শনিবার প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে ১৮৬২ মেট্রিকটন ন্যাপথা বা অপরিশোধিত তেল দেশে এসে পৌছেছে। নরসিংদীর ঘোড়াশালের শীতলক্ষা নদীর তীরের বেসরকারি তেল পরিশোধন কোম্পানি একোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের জেটিতে এসে পৌঁছায় ওটি সাংহাই-৮ নামের তেলবাহি ট্যাংকার। বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকাবাহী জাহাজটি দুই দেশের মধ্যে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় আসা প্রথম তেলবাহি জাহাজ। যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে এ মাসের ৯ তারিখ ছেড়ে আসে। পরিশোধন কোম্পানি জানায়, ১৮৬২ মেট্রিক টন ন্যাপথা ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পরিশোধন করে প্রায় ২৫ লাখ লিটার অকটেন বের করা হবে। তাদের কাছ থেকে যা সরাসরি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন কিনে নিবে। এরপর পরিশোধিত তেল চলে যাবে ভোক্তা পর্যায়ে। পুরো প্রক্রিয়া শেষে ভোক্তা পর্যায়ে তেল পৌছাতে সব মিলিয়ে এ সপ্তাহ সময় লাগবে। পরিচালক, এ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেড ইরশাদ হোসেন বলেন, তেল আমদানির এই পুরো প্রক্রিয়াটি ভারতের সাথে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। সংস্হাটি জানায়, এই চুক্তির আওতায় ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে ইতিমধ্যেই ১৬ হাজার মেট্রিক টন তেল আনার অনুমতি দিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। যা পর্যায়ক্রমে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিচালক, ট্রাফিক, বিআইডব্লিউটিএ রফিকুল ইসলাম বলেন, ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন জানায়, নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় তেল আমার এর দামও অন্যান্য রফতানি করা দেশের চেয়ে কম হবে। এছাড়া এই চুক্তির আওতায় আরো ৩৫শ মেট্রিক টন ন্যাপথা ১০ দিনের মধ্যে ভারত থেকে দেশে আমদানি হবে বলেও তিনি জানান।মাজহার আলম, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানি। দেশে অকটেন ও পেট্রোলের দৈনিক চাহিদা রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার টন। দেশীয় উৎপাদন ও মজুদ এবং আমদানি পরিকল্পনা দিয়ে যা এখন পুরণ করা সম্ভব হচ্ছে।