বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে থাইল্যান্ডকে ১১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সেমিফাইনাল ম্যাচে এই জয়ের ফলে ফাইনালের সঙ্গে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিটও নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় টাইগ্রেসরা। ১৭ বলে ১১ রান করে আউট হন ফারজানা হক।আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ২ চারে ৩৫ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ২ চারে ২৪ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত রুমানা হকের ২৪ বলে ২৮ ও রিতু মণির ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংসের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করতে পারে বাংলাদেশ।১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই কঠিন চাপে পড়ে যায় থাইল্যান্ড।ইনিংসের পাঁচ ওভারের মধ্যে মাত্র ১৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিন ব্যাটার। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়ে চতুর্থ উইকেটে ৩২ রান যোগ করেন নারুমল চাওয়াই ও নাত্থাকাম চান্থাম। অধিনায়ক নারুমল ইনিংসের ১৩তম ওভারে দলীয় ৪৫ রানে আউট হওয়ার আগে খেলেন ২৭ বলে ১২ রানের ইনিংস।এরপর আহত অবসর হন চানিদা সুত্থিরুয়াং।তার জায়গায় নামা সোনারিন টিপোচকে নিয়ে শেষ চেষ্টা চালান চান্থাম। বিশেষ করে শেষ তিন ওভারে ৫১ রানের চাহিদায় ১৮তম ওভারে ১৬ রান ও ১৯তম ওভারে ১৩ রান নিয়ে খেলা জমানোর আভাস দেন তিনি। কিন্তু ইনিংসের শেষ ওভারে অভিজ্ঞ অফস্পিনার সালমা খাতুনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে চারটি চার ও তিনটি ছয়ের মারে ৫১ বলে ৬৪ রান করেন ২৬ বছর বয়সী চাত্থাকাম। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১০২ রান করে থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন সালমা।এছাড়া মেঘলা দুই ও নাহিদা আখতারের শিকার এক উইকেট।বাংলাদেশের ফাইনালের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড নারী দল। তাদের গ্রুপ পর্বে একবার হারিয়ে এসেছে জ্যোতির দল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় ৯টায় আইরিশদের বিপক্ষে আবার খেলতে নামবে টাইগ্রেসরা।উল্লেখ্য, দশ দলের অংশগ্রহণে হতে যাওয়া ২০২৩ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বাগতিক হিসেবে আগে থেকেই জায়গা নিশ্চিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। এছাড়া র্যাংকিং বিবেচনায় ভারত, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান পেয়েছে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট। আর আরব আমিরাতে চলমান বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলো বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ফাইনালে ওঠার মাধ্যমেই এ দুই দলের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়ে গেছে।