নরসিংদীর রায়পুরায় কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তরুণ গীতিকবি ও সাংবাদিক ওমর ফারুক বিশাল (২৭) নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন তার বন্ধু ইমাম হোসেন সজল।আজ সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মরজাল বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিশাল বেলাব উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের ধুকুন্দী গ্রামের নূরুল হকের ছেলে।হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে বিশাল তার কর্মস্থল ঢাকায় যাওয়ার জন্য সজলের মোটরসাইকেলে করে মরজাল বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে বের হন। তারা মরজাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার কাছাকাছি পৌঁছালে ভৈরবগামী একটি বেপরোয়া কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বিশাল মারা যান। আর সজল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।বিশালের চাচাতো ভাই মামুন বলেন,এক বন্ধুর মোটরসাইকেলে করে সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন বিশাল। মোটরসাইকেলের পেছনে বসেছিলেন তিনি। আমাদের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে মরজাল বাসস্ট্যান্ডের পাশে তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয় একটি কাভার্ডভ্যান। সেখানেই প্রাণ হারান বিশাল। তার বন্ধুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।বিশালের জানাজা আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় স্থানীয় ধুকুন্দী স্কুলমাঠে অনুষ্ঠিত হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, কাভার্ডভ্যানের পেছনের চাকায় রক্তের ছাপ রয়েছে।পেছনের চাকায় চাপা পড়েই বিশাল মারা গেছেন। ঘাতক চালক পালিয়ে গেলেও কাভার্ডভ্যান আটক রয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।কয়েক বছর ধরে নিয়মিত গান লিখছিলেন ওমর ফারুক বিশাল। ওপার বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী অনুপম রায়, বাংলাদেশের তাহসান খান, এফ এ সুমন, জয় শাহরিয়ার, সাব্বির নাসিরসহ আরও অনেকেই কণ্ঠ দিয়েছেন তার লেখা গানে।পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ নিউজ-জিতে ফিচার এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। এর আগে কাজ করেছেন বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে।