নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ের অবহেলিত এবং বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মি ও নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবার ও সরকার পরিবার এর সন্তান আশরাফ সরকার কে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায়।
জানা যায় জনগনের মাঝে গ্রহণ যোগ্য লোক হিসেবে বিবেচিত এই আশরাফ সরকার। কারন তিনি সব সময় জনগন এর পাশে থেকে জনগণের মন যুগিয়েছেন।ছোট বেলা থেকে ছাত্রলীগে থেকে রাজনীতি শুরু করে পাশাপাশি সকল স্তরের জনসাধারণকে দানদক্ষিনা করতেন। ঢাকা কলেজ এর এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ছাত্র লীগের নেতা ও ছিলেন। পরবর্তী তে নরসিংদী শহর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও ছিলেন। দলের নেতা কর্মিদের সংঘটিত করতে এবং দলকে ডেলে সাজাতে দিন রাত্র পরিশ্রম করেছেন এবং কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন, বিনিময়ে কিছুই পাননি দলকে দিয়েই গেছেন, দল ক্ষমতা আসার পর একটি পরিকল্পিত মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে বহু হয়রানি করে এবং তার প্রচুর পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়। তার পর ও তিনি থেমে থাকেননি,তিনি তার মত করে দলের নেতা কর্মিদের নিয়ে সমস্ত কর্মসূচী পালন করেন। সারা জেলা জুড়ে রয়েছে তার গ্রহণ যোগ্যতা ও প্রভাব। কারন তিনি স্বচ্ছ রাজনীতি করেন।মানুষের বিপদে দলের নেতা কর্মীদের যে কোন প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ান বলে আওয়ামী লীগের সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন এর অনেকই জানান। তিনি কি ভাবে আওয়ামী লীগের পরিবারের সন্তান তা জানতে চাইলে পুরনো দিনের আওয়ামী লীগের লোকজন জানান।আশরাফ হোসেন সরকারের এর চাচা স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগ করতেন এবং নরসিংদী পৌরসভার প্রথম প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। বঙ্গবন্ধু শহীদ হবার পর কেহই আওয়ামী লীগের নাম নিতে সাহস করত না যখন, তখন আশরাফ হোসেন সরকার এর চাচা ও তার পরিবার এর লোক আওয়ামী লীগের পোষ্টার লাগিয়ে আওয়ামী লীগকে সূ সংগঠিত করত।তাঁর আরেক ভাই আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা মোঃ হান্নান সরকার নরসিংদী সদর উপজেলার চেয়ারম্যান, তিনি ও নরসিংদী সদরের প্রতিষ্ঠাতা উপজেলা চেয়ারম্যান। আরেক ভাই নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়িক মতিন সরকারের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল, তিনি সারা জেলার আওয়ামী লীগকে সু সংগঠিত করে রাখত তাই তিনি দুই দুই বারের নরসিংদী পৌর সভার চেয়ারম্যান ছিলেন।বিরোদী দলের সময় আন্দোলনের ডাক পাইলে মতিন সরকার ও আশরাফ সরকার সব করতেন।অন্য সরকারের আমলে এই পরিবার কাউকে ভয় কিংবা পাত্তা দেয়ার প্রয়োজন মনে করেনাই। অনেকে পালিয়ে চলে গেল ও সরকার পরিবার পালিয়ে যায় নাই বরং আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধরে রাখতেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরুধী দল থাকা কালীন সময়ে নরসিংদী দুই বার আসেন এবং বিশ্রাম নেয়ার জন্য নিরাপদ ভেবে সরকার পরিবার এর বাড়িতে বিশ্রাম নিতেন।এবং যখন ঢাকা সভা মিটিং মিছিল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হত তখন মতিন সরকার কে লোকজন নিয়ে যোগ দান করার কথা বললে মতিন সরকার ঢাকা বাস ভরে লোকজন নিয়ে যোগ দান করতেন।এজন্যই আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন এর নেতা কর্মি সমর্থকরা মনে প্রানে চান নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যেন সরকার পরিবার থেকে আশরাফ সরকার কে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়। কারন এক সময় নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ মানেই এই সরকার পরিবার সবাই মনে করত এবং নরসিংদী সারা জেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধরে রাখত।বর্তমান সময়ে যে গ্রুপিং এবং নোংরা রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আশরাফ হোসেন সরকার এর বিকল্প নেই তাই তাকেই নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সবাই দেখতে চায় এবং প্রয়োজন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত নেতা কর্মিগন। কারন অনেকে পালিয়ে চলে গেল ও কখনো বিরোদী দল হলে সরকার পরিবার পালিয়ে যাবেনা।বিরুধী দলে থাকতে নেতা কর্মিরা মামলা হামলার স্বীকার হলে এই আশরাফ হোসেন সরকার কে ই পাশে দাড়াতে হত,এবং তাদের প্রয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করতেন।