গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর ভূমি অফিসের এক উপ-সহকারী কর্মকর্তার কাওসার হোসেনের ঘুষ গ্রহণের ১ মিনিটি ২৪ সেকেন্ডের একটি শব্দহীন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকে উপজেলা ও জেলার সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে।জানা যায়, হুমায়রা নামে এক মহিলা বক্তারপুর ইউয়িনের ফুলদী মৌজার ৮শত ১৫ শতাংশ জমির নামজারী জমাভাগের আবেদন করেন। যার নথি নং ৪১৬১/২০২২-২০২৩। নথিটি উপজেলা অফিস থেকে প্রতিবেদনের জন্য পৌর ভূমি অফিসে প্রেরণ করা হয়। দীর্ঘদিনেও আবেদনটির প্রতিবেদন উপজেলা অফিসে না পৌছলে আবেদনকারী সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে যোগাযোগ করলে উপ-সহকারি কর্মকর্তা মোঃ কাওসার হোসেন মোল্লা ‘নথিটি হারিয়ে গেছে’ বলে জানান। পরে আবেদনকারী তার এক আত্মীয়কে সাথে নিয়ে ওই কর্মকর্তার সাথে পুনরায় যোগাযোগ করেন। এসময় কাওছার হোসেন মোল্লা তাদেরকে জানায়, নথিটি পাওয়া গেছে। তবে নথিটির নামজারী প্রস্তাব পেতে হলে ৭০ হাজার টাকা দিতে হবে। কেন টাকা দিতে হবে-আবেদনকারীর ওই আত্মীয়ের এমন প্রশ্নের জবাবে উপ-সহকারী কর্মকর্তা জানান, এ টাকার ভাগ ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, উপজেলা ভূমি অফিসের নামজারী সহকারী, কানুনগো ও এসিল্যান্ডকে দিতে হয়। পরে নিরুপায় হয়ে আবেদনকারী তার ওই আত্মীয়ের মাধ্যমে গত ৫ এপ্রিল ২০২৩ কাওছার হোসেনকে তার দাবিকৃত টাকার মধ্যে দুই দফায় ৪২ হাজার টাকা দিলে তিনি নামজারীর প্রস্তাব উপজেলা ভুমি অফিসে প্রেরণ করেন।লেনদেনের বিষয়টি জনৈক ব্যক্তির নজরে এলে তিনি তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। গত দুই তিন দিন যাবৎ শব্দহীন ১ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা ও জেলার সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠে। একটি সূত্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনও বিব্রত।এ বিষয়ে উপ-সহকারি কর্মকর্তা মোঃ কাওছার হোসেন মোল্লা জানান, জমির নামজারী ও জমাভাগের প্রস্তাব প্রেরণে আমি কোন অবৈধ লেনদেন করি না। পরে ৪১৬১/২০২২-২০২৩ নং নথিতে ৪২ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ওই নথিটির নামজারী ও জমাভাগ হয়ে গেছে।পরে এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাফছা নাদিয়া জানান, সোস্যাল মিডিয়ার ভিডিও ক্লিপটি আমি দেখেছি। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।