গত ৮ নভেম্বর রাতে নরসিংদী সদর থানার ব্রাহ্মণপাড়ায় গুরুদাসের তিনতলা বাড়ির ছাদে অজ্ঞাতনামা হত্যাকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে সাটির পাড়া নিবাসী কামরুজ্জামান (৪৫) কে। হত্যার পরই পার্শ্ববর্তী বাড়ীর ছাদের ওপর দিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত ঘাতক। এই বিষয়ে নিহতের ছোট ভাই শামসুজ্জান সোহেল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
মামলার ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই নরসিংদী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম এর নির্দেশে নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহীদুল ইসলাম সোহাগ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাশেম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে নরসিংদী মডেল থানার একদল চৌকস অফিসার ফোর্স তাৎক্ষণিক একটানা অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মামলার ঘটনা সংশ্লিষ্ট আলামত, ভিকটিম ও সন্দেহ ভাজন হত্যাকারীর মোবাইল ফোন, সন্দেহ ভাজন আসামির বাড়ির পাশ থেকে তার গায়ের রক্তমাখা কাপড় চোপড় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। প্রাপ্ত আলামত ও মোবাইলে ফোনের সূত্র ধরে মামলার ঘটনায় জড়িত রবিন (২৬) পিতা মুহাম্মাদ আলি হোসেন, সাং ব্রাম্মনপাড়া, থানা ও জেলা নরসিংদী কে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মাধবদী থানাধীন মহিষাসুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে রবিন মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং পূর্ব শত্রুতার কারণে পরিকল্পিত ভাবে ব্রাহ্মণপাড়া নিবাসী গুরুদাস এর বাড়ীর ছাদে নিয়ে সে একাই ধারালো ছুরি দিয়ে কামরুজ্জামানকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ১০/১২ ঘণ্টার মধ্যেই নরসিংদী থানা পুলিশ অত্যন্ত দ্রুততার সাথে মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ একমাত্র ঘাতক রবিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামী রবিনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের বাড়ির পাশ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। অদ্য আসামী রবিনকে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করলে আসামি রবিন কামরুজ্জামানকে সে নিজেই হত্যা করার বিষয়ে দোষ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। বিজ্ঞ আদালত আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক:মোঃনাজমুল হক মণি
সহকারী সম্পাদক:মোহাম্মদ ইউসুফ
প্রধান কার্যালয়:আশুলিয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ
যোগাযোগ: +880 01911121791
© জনগণের বাণী | আইটি সহায়তাঃ সাব্বির আইটি