নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি ভূমি খেকো গ্রুপের বিরুদ্ধে জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (২৬ নভেম্বর) মাধবদী থানাধীন নুরালাপুর ইউনিয়নের বিরামপুর (চৌড়াবাড়ি) আব্দুল আজিজ এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে । এ দিকে হুট করে জমি দাবি করা পক্ষ যাতে জমি দখল করতে না পারে সে জন্য আব্দুল আজিজের পরিবারের লোকজন ও প্রস্তুত রয়েছে। তারা যে কোন মূল্যে তাদের পিতার ক্রয়কৃত ভুমি জবর দখলের হাত থেকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।
ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিবাদীর জমিতে থাকা সিমেন্ট ও বাশের খুটি ভাংচুর সহ তাদের বসত ঘর ভাংচুর করে এর একাধিক টিন খুলে ফেলা হয়েছে।ভোক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানায়, গত ২২ নভেম্বর তারা তাদের জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদালতে আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪৫ ধারা জারি করেন। ১৪৫ জারি করার কথা শুনে একই এলাকার আয়েব আলীর পুত্র মোমেন মিয়া, মোঃ মাহবুব, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ রিয়াদ মিয়া, ফায়েজ আলীর পুত্র মোঃ ছগির মিয়া ও আঃ রশিদ গত ২৬ নভেম্বর পৈত্রিক ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে প্রায় ৪০ বৎসর যাবত ভোগ দখলকৃত জমি জোর করে দখল করার চেষ্টা করে। এসময় তারা ভুক্তভোগী পরিবারের ৮/১০ টি সিমেন্ট ও বাঁশের খুঁটি সহ তাদের বসতঘর ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করেছেন মাধবদীর বিরামপুরের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র মোঃ মাছুম মিয়া।
মাছুম মিয়া বলেন, বিরামপুর চৌরাবাড়ির আয়েব আলীর পুত্র মোমেন মিয়া, মোঃ মাহবুব, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ রিয়াদ মিয়া, ফায়েজ আলীর পুত্র মোঃ ছগির মিয়া ও আঃ রশিদ হঠাৎ করে গত ২ মাস আগে আমাদের ভোগদখলকৃত জমির কিছু অংশ দাবী করে সুবিধা করতে না পেরে জোর করে দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে প্রতিপক্ষরা পুনরায় জোর করে জমি দখলের পাঁয়তারা সহ আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমি আমার পরিবারের লোকজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে পুলিশ প্রসাশন যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাবস্হা না নেয় তাহলে এখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে জানান তারা ।
মাধবদী থানা পুলিশ জানায়, বর্তমানে নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ ১৪৫ ধারা জারি করে উভয়পক্ষকে নোটিশ দিয়ে এসেছে। আদালতের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এখানে কেউ কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না বলে ও জানান তারা।
প্রকাশক ও সম্পাদক:মোঃনাজমুল হক মণি
সহকারী সম্পাদক:মোহাম্মদ ইউসুফ
প্রধান কার্যালয়:আশুলিয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ
যোগাযোগ: +880 01911121791
© জনগণের বাণী | আইটি সহায়তাঃ সাব্বির আইটি