গাজীপুর-৫, কালীগঞ্জ ১৯৮ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন স্বপন এর মনোনয়নপত্র বাতিল ও ৮ জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইকালে বাতিল ঘোষণা করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে দাখিল করা মনোনয়নপত্র রোববার ও সোমবার বাছাই করা হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম প্রার্থীদের মনোনয়ন বাছাই করেন। এসময় গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজিজুর রহমান, বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন নির্বাচনে কালীগঞ্জে মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার বাছাইকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন স্বপন এর পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্র বকেয়া ও আয়কর নথিপত্র গড়মিল থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে, তিনি এ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারবেন বলে জানানো হয়। গাজীপুর-৫ কালীগঞ্জ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারউজ্জামান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান এমপি মেহের আফরোজ চুমকি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সহ যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. মো. আল-আমিন দেওয়ান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য উর্মি, জাতীয় সমাজ ত্রান্ত্রিক দল (ইনু) জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম আখন্দ, গণফোরাম খিলক্ষেত থানা সভাপতি মো. সোহেল মিয়া, জাকের পার্টি জেলা সভাপতি এ এন এম মনিরুজ্জামান লাল ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ৫ জানুয়ারী ২০২৪ প্রচারণার শেষ দিন । ৭ জানুয়ারী ভোট গ্রহণ।