মাধবদী থানার কাঠালিয়া ইউনিয়নের শ্যামরায়েরকান্দী গ্রামে কৃষককে হত্যার ঘটনায় দুই আসামীকে আটক করেছে মাধবদী থানা পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংএ পুলিশ জানায়, গত ১১ডিসেম্বর সোমবার রাত আনুমানিক ৮টায় স্থানীয় বাজার থেকে গরুর খাদ্য আনার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয় ছানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে আহসানউল্লাহ(৩০)। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজির শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ১৩ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ৭টায় শ্যামরায়েরকান্দী গ্রামের চকের মাঝে কৃষি জমিতে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। মৃত আছান উল্লাহ(৩০) এর বাম চোখ উঠানো এবং ডান কান কাটা ছিল। পুলিশ সংবাদপেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।পরবর্তিতে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করে।নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এর নির্দেশনায় মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মিলন এর তত্বাবধানে গত ১৪ডিসেম্বর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এসআই মোঃ ইলিয়াস মিয়া শ্যামরাকান্দি গ্রাম থেকে করিম ওরফে হানিফা(১৯)কে আটক করে, পরে তার দেওয়া তথ্য মতে শাহিন(১৯)কে আটক করা হয়।জিঙ্গাসাবাদে করিম ও শাহিন জানায়, মৃত আছান উল্লাহ তাদের প্রতিবেশী, সে কৃষিকাজ সহ গাভী লালন করত এবং মেয়েলী স্বভাবের ছেলে ছিল।আসামীদ্বয় ইতিপূর্বেও মৃত ব্যাক্তির সাথে যৌনকার্যে লিপ্ত হয়ে ছিল।ঘটনার দিন ১১ডিসেম্বর রাতে আনুমানিক ৮টায় শ্যামরায়েরকান্দী গ্রামের চকের মাঝে কৃষি জমিতে গিয়ে তিনজন যৌনকার্যে লিপ্ত হয়।যৌনকার্য শেষে আসামীদ্বয় চলে আসতে চাইলে আছান উল্লাহ জোড় পূর্বক তাদেরকে পুনরায় যৌনকাজ করতে বাধ্য করতে থাকে।এসময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আছান উল্লাহর গলায় চাদর পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।পরে মৃতদেহ ধানের খড়(নাড়ার) নিচে লুকিয়ে রাখে।আসামীদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করে।
প্রকাশক ও সম্পাদক:মোঃনাজমুল হক মণি
সহকারী সম্পাদক:মোহাম্মদ ইউসুফ
প্রধান কার্যালয়:আশুলিয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ
যোগাযোগ: +880 01911121791
© জনগণের বাণী | আইটি সহায়তাঃ সাব্বির আইটি