এবার গারদখানায় জন্মদিন পালন করলেন হত্যা মামলার আসামি নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ। শুধু জন্মদিন উদযাপনই নয়, মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে। এদিকে গারদখানায় জন্মদিন পালনের বিয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফলে শুশিল সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহীনির নিরাপত্তা বেষ্টনিতে এমন আয়োজনে মর্মাহত হয়েছেন মামলার বাদী আলতাফ হোসেন।
জানাজায়, ছাত্রনেতা সাদেক হত্যামামলা সহ একাধিক মামলার আসমি নরসিংদী জেলা ছাত্রদল নেতা ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ। গত ৫ মার্চ তার জন্মদিন ছিল। এই দিনে একটি মামলায় হাজিরা দিতে কারাগার থেকে তাকে আদালতে আনা হয়। তাকে আদালতের গারদে রাখা হলে একাধিক ছাত্রনেতা কেক নিয়ে গারদে আসেন জন্মদিন পালন করেত।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, নরসিংদী জেলা ছাত্রদল নেতা ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ গারদে আসার পর একাধিক ছাত্রনেতা জন্মদিন পালন করতে কেক নিয়ে হাজির হয়। পরে তারা গারদের ভেতরে বসে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন। কেক কেটে ছাত্রদল সভাপতিকে খাইয়ে দেয়া হচ্ছে। ওই সময় জন্মদিন উদযাপনের ছবি ও ভিডিও ধারন করা হয়। ওই সসব ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করা হয়। মুহুর্ত্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়ে গরদে জন্মদিন পালনের বিষয়টি। ফলে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা ও তিব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
মামলার বাদী ও নিহত ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ভাইকে হারিয়ে আমরা মর্মাহত। সেখানে ছাত্রদলের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে ও সরাসরি অংশ গ্রহণে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়। আবার সেই হত্যাকারী আদালতের গারদে বসে পুলিশের উপস্থিতিতে আনন্দ উল্লাস করে জন্মদিন পালন করে। সেটা কতটা কষ্টের, সেটা ভাই হারানো ব্যক্তি ছাড়া কেউ বুঝবেন কিনা আমি জানি না। যারা আইনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে পবিত্র আদালতের গারদে বসে জন্মদিন পালন করেন এবং যারা সহায়তা করেছেন, তাদের শাস্তি দাবি করছি।
নরসিংদী আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জমান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।