তীব্র তাপদাহ থেকে জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে গাজীপুর মহানগরের ব্যস্ততম এলাকা টঙ্গী স্টেশন রোড এ রিক্সাওয়ালা,বাস ড্রাইভার,ট্রাক ড্রাইভার ও সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবক সামাজিক সংগঠন সময়ের বাতিঘর। গতকাল দুপুরে টঙ্গী স্টেশন রোডে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত পানি ও স্যালাইন বিতরণ করে সংগঠনটি। এই গরমে পানি ও স্যালাইন পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। সংগঠনের সভাপতি মোস্তাকিম খান বলেন তীব্র তাপদাহ চলছে সারা দেশজুড়ে। ক্রমশ বেড়ে চলছে গরমের তীব্রতা। অঞ্চল ভেদে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাচ্ছে গরমের তীব্রতা। গরমের তীব্রতায় শরীর ঠান্ডা ও সুস্থ রাখা চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলমান এ তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। জীবিকার তাগিদে প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করেও তারা রাস্তায় বের হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে টঙ্গী গাজীপুর রিকশাচালকরা পড়েছে মহাবিপদে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে যাত্রী ধরতে খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। তপ্ত রোদেও থামাতে পারেনি নিম্নআয়ের এসব মানুষের রিকশার প্যাডেল। নিয়মিত যাতায়াতের জন্য রিকশার ওপর নির্ভরশীল। অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তারা। আজ সেই রিকশাওয়ালাদের মুখে সামান্য হাসি ফুটানোর জন্য আমরা এখানে এসেছি। সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান শেখ বলেন শ্রমজীবী মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে স্বেচ্ছাসেবক সামাজিক সংগঠন সময়ের বাতিঘর আজ বিশুদ্ধ বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে প্রতিদিন আমাদের এ কার্যক্রম অবহাওয়াত থাকবে এছাড়াও ভবিষ্যতে আমরা দেশ-জাতির সংকট ও দুর্যোগ মুহূর্তে ত্রাণ বিতরণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, শীতবস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষধ বিতরণ, পরিষ্কার-পরিছন্নতা অভিযান, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, সবার জন্য শিক্ষা, পথশিশুদের আশ্রয়দান, রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিংসহ নানাবিধ সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচির গ্রহণ করেছি পর্যায়ক্রমের সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য সমাজে যারা বৃত্তবান রয়েছে তাদেরকে সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি মোঃ হানিফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ ঢালী,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজালাল দেওয়ান,অর্থ সম্পাদক মোঃ পলাশ সরকার,দপ্তর সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া,প্রচার সম্পাদক মোঃ পাপেল মিয়া ও কার্যনির্বাহী সদস্য খন্দকার আব্দুল হাসিব প্রমুখ।