অনাবৃষ্টির কারণে তীব্র তাপপ্রবাহে পুরছে সারাদেশ। বৃষ্টির জন্য ব্যাকুল দেশের প্রতিটা অঞ্চলের মানুষ। বৃষ্টির আশায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন আদায় করছেন বিশেষ ‘ইসতেসকার’ নামাজ।
রৌদ্রের তাপমাত্রা এতটাই বেশি যে,অনেক জায়গায় রেকর্ড ছাড়ালো। বেড়েছে হিট স্ট্রোক সহ নানা ধরনের রোগব্যাধি। এই তীব্র তাপদাহে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষ। মাঠ-ঘাট,ফসলের জমি,পুকুরের মাছ সহ দেখা মিলেছে রাস্তার পিচ গলা। তীব্র তাপদাহে থাকার কারণে অনেকে ডাব, শরবত, ঠান্ডা কোমল পানি ও তরমুজ খেয়ে তাদের শারীরিক তীব্রগরম কমানোর চেষ্টা করছে।
গরমকে নিবারণ করার জন্য নরসিংদীতে বেড়েছে ফ্যান, ফ্রিজ, এসি ও ঠান্ডা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বিক্রি । তবে শোরুমগুলোতে দেখা দিয়েছে বিগত দিনের চেয়ে এসি বিক্রির পরিমাণ বেশি।খেটে খাওয়া মানুষ ও সাধারণ জনগণের আগ্রহ বেড়েছে ডাব, তরমুজ,ও শরবত জাতীয় পানির। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে প্রতিদিনই ফ্রি খাওয়ানো হচ্ছে শরবত, স্যালাইন ও ঠান্ডা পানি।
সরজমিনে নরসিংদীর বিভিন্ন স্হান ঘুরে দেখাযায়,রেলস্টেশন,বাসস্ট্যান্ড,আদালত চত্তর, ইটাখোলা, বেলানগর, পাঁচদোনা, মাধবদী,ঘোড়াশাল স্থানে তরমুজ, ডাব, শরবতের বিক্রেতারা জানান, দিনে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার ডাব বিক্রয় করছেন তারা। ডাব বিক্রেতা সবু জানান, আগের তুলনায় এই গরমে বৃদ্ধি পেয়েছে ডাবের বিক্রয় প্রতিটি ডাব ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা দামে বিক্রি করছেন তারা। তরমুজ প্রতিটি ২৫০ থেকে ৪০০টাকা বিক্রয় করতে দেখা গিয়েছে।
এছাড়াও নরসিংদীর আশেপাশে রয়েছে অনেক, দইয়ের ঘোল দ্বারা তৈরি মাঠা, প্রতি গ্লাস মাঠা ২০ টাকা এবং ১ লিটার ১৪০ টাকা বিক্রয় করতে দেখা গিয়েছে।
রিক্সা চালক ফিরু জানান, গরমে তীব্রতা এত বেশি যে সূর্যের তাপের সঙ্গে বাতাসের ভাবসা গরম বেড়েছে দ্বিগুণ। সব মিলে প্রখর রৌদে জীবন পার করা খুব কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে।