নাজমুল হক মণি:নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশালে ডাঃ নজরুল বিন নুর মহসিন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রিনা নাসরিনের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ।
বুধবার(২১ আগস্ট) সকালে ঘোড়াশাল ষ্টেশন রোডে বৃষ্টিতে ভিজে ডাঃ নজরুল বিন নুর মহসিন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী বৈষম্য,অন্যায়,ও দূর্নীতির প্রতিবাদে ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ও অধ্যক্ষ্যের পদত্যাগ দাবি করে।শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে বলেন , যোগ্য, মেধাবী প্রার্থীদের বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগ দলীয় পরিচয়ে অসৎপন্থায় দুর্নীতির মাধ্যমে ইন্টারভিউ এর নামে প্রহসন করে নিয়োগপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ, স্বৈরাচার, অযোগ্য অধ্যক্ষা রিনা নাসরিনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচী পালনে অধ্যক্ষকে দাওয়াত দিতে গেলে এবং সহযোগীতা চাইলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। যেসব শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ছিল তাদের পোস্ট ডিলিট করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছিল।
শিক্ষার্থীরা জানান,আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী চলমান থাকবে।অধ্যক্ষের পদত্যাগের পাশাপাশি তারা আরো কয়েকটি দাবী জানান, শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য ও প্রাইভেট বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। প্রাইভেটে ব্যাচের ছাত্রী প্রতি মাসে ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়।এদের মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষক মোঃ হেলাল মিয়া, মেহেদী হাসান।তারা প্রাইভেট পড়ার জন্য ছাত্রীদের সাথে বাজে আচরণ করতো।প্রাইভেট না পড়লে পরিক্ষায় ফেল করনোর ঘোষণা দিত।এগুলো বন্ধ করতে হবে।অন্যায় ভাবে জরিমানা আদায় বন্ধ করতে হবে। কলেজের ক্লাসে বা কোচিং-এ একদিন অনুপস্থিত থাকলে বিনা রশিদে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা নেয়া হয়। পরিক্ষার প্রবেশপত্র আটকিয়ে রেখে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা জরিমানা নেয়ার নজির আছে।শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করা হয় না। জরিমানা মওকুফের জন্য অধ্যক্ষের নিকট গেলে তিনি কোন কথাই শুনতে চান না বরং ছাত্রীদের সামনেই অভিভাবকদের অপমান করতো অধ্যক্ষ রিনা নাসরিন।অধ্যক্ষ এবং স্বৈরাচার দলীয় চাটুকার শিক্ষকগণ অভিভাবকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতো। অভিভাবকদেরকে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। অভিভাবকদের সাথে ভদ্র ভাষায় কথা বলতে হবে।পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, গোপনে গভর্নিং বডি গঠন করা যাবে না। প্রকাশ্যে সকলকে জানিয়ে গভর্নিং বডি গঠন করতে হবে। শিক্ষকদের ক্লাস এবং কর্মচারীদের ডিউটি প্রদানে বৈষম্য করা যাবে না। অধ্যক্ষ ও কয়েকজন চাটুকার শিক্ষক কর্তৃক আমাদের গ্রুপের বান্ধবীদের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান বন্ধ করতে হবে।মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।