গাজীপুর জেলার টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজে দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন ৫৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান মাস্টার। বর্তমানে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগ আছে ১৯৮৯ সালে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া এই নেতা সাবেক গাজীপুরে ২ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি জাহিদ আহসান রাসেল ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি”র দলীয় নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে ২০০০ সালে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহন করেন।এদিকে ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে ছাত্রদের ইন্দন দিয়ে অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানকে অপসারণ করে এই দায়িত্ব নেন তিনি বলে জানায় স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ সকল বিষয়ে সাবেক অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে অভিযোগ রয়েছে। মজিবুর মাস্টারের বিরুদ্ধে রয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার। অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রয়েছে ঢাকা জেলার উওরা পশ্চিম থানা সহ গাজীপুর জেলার গাছা থানার এজাহার ভুক্ত হত্যা মামলার আসামী ।
অনুসন্ধানে জানা যায় গাজীপুর ও টঙ্গীর বিএনপি নেতাদের যোক সাজসে তাদের ম্যানেজ করে এখনো বহাল তাবিয়াতে আছেন তিনি। এদিকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দাবি শিক্ষক মজিবুর রহমান সহ একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় ২০১৩ সালে সেই তদন্তের কপি আসে অনুসন্ধানে। এ বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল বিষয়টি তদন্ত করেন । প্রতিবেদনে দেখা যায় মুজিবুর রহমান মাস্টার সহ ৫ শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ আইন মেনে হয়নি।
এই প্রতিবেদনের পর আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামা ছাপা দেন শিক্ষক আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান। এ সকল বিষয় অভিযোগ থাকলে মুজিবুর রহমান মাস্টারের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এখনো নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা হত্যা মামলা থাকলেও ৫ মাস পার হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো নেয়নি কোন আইনি ব্যবস্থা। স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকের দাবী সাবেক অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানকে পূনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনার তাহলে শিক্ষার মান আগের মতই ফিরে আসবে বলে জানান।
জসিম উদ্দিন দেওয়ান সাবেক সভাপতি ৫৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি, নেতা বলছেন মজিবুর রহমান মাস্টার তিনি আওয়ামী লীগ করেন, তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদেও রয়েছেন , তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী হলেও তিনি এখনো কীভাবে স্কুলের দায়িত্বে থাকেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান থাকা কালিন সময়ে শিক্ষার মান ভালো ছিল। গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার, আল মামুন তালুকদার বলেন মুজিবুর রহমান মাস্টারের কোন দুর্নীতির অভিযোগ এবং ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামি হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এন এম নাসিরুদ্দিন, উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) বলেন মুজিবুর রহমান মাস্টার যদি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে থাকেন এবং তার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে সকল বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সকল অভিযোগ বিষয় মুজিবুর রহমান মাস্টার সাথে একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেননি।