কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ১৬ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (২ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে এসব টাকা পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ এই নগদ টাকা ছাড়াও দানবাক্স থেকে বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রাসহ দান হিসেবে সোনা-রূপার গহনা পাওয়া গেছে। সকাল থেকে এসব টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা গণনা শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনা চলবে।গণনা সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এবার দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ ৪ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সোনা, রূপা ও বিদেশি মুদ্রা মিলেও প্রায় অর্ধকোটি টাকার মতো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এর আগে সর্বশেষ ১২ মার্চ দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে বিলম্বে দানবাক্স খোলা হচ্ছে। এবার ৩ মাস ২০ দিন পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হলো।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। বাক্সগুলো থেকে টাকা বের করে প্রথমে বস্তায় রাখা হয়। এরপর শুরু হয় গণনার কাজ।রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও কিশোরগঞ্জ করপোরেট শাখার প্রধান মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী টাকা গণনায় অংশ নেন। এছাড়া আরও সহযোগিতা করছেন পাগলা মসজিদের অধীনে মাদরাসার শতাধিক ছাত্র ও শিক্ষক।কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে টাকা গণনার কাজ তদারকির দায়িত্বে আছেন জেলা প্রশাসনের ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। টাকা গণনার কাজ নিজ চোখে দেখতে শহরের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ মসজিদে ছুটে যান।