কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সারকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনাররের অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারের এক সাংবাদিককে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে কায়সারের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।সোমবার রাতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এছাড়াও মোহাম্মদ কায়সারকে ওএসডি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে করা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে তাকে ওএসডি করে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। এখন উচ্চ আদালত কী নির্দেশনা দেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।খন্দকার আনোয়ার বলেন, গত রবিবার বিভাগীয় কমিশনারদের সম্মেলনে জোরালোভাবে বলা হয়েছে তারা (কমিশনাররা) যখন জেলায় যাবেন তখন সব কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে চাল চলন আচার-আচরণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।কারণ এটি তো সাংবাদিকের বিষয় নয়, এই ভাষায় কারও সঙ্গেই কথা বলা যায় না। যে যত বেশি ব্যবস্থাপনার কাজে থাকবেন, ওপরে থাকবেন তত বেশি মাথা ঠান্ডা করে কথা বলতে হবে।ইউএনও’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, যে কোনো ঘটনা ঘটলে সেটার তদন্ত হওয়ার পর মূল পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আপাতত তাকে ক্লোজ করে বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।মন্ত্রিপরিষদ সচিব যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেটা অফিসিয়ালি এখনো আসেনি।তিনি আরও বলেন, হয়তো কালকের (মঙ্গলবার) মধ্যেই নতুন সিদ্ধান্তের কথা আপনার জানতে পারবেন। ওই উপজেলাতে নতুন ইউএনও নিয়োগের কাজও চলছে।প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ কায়সার স্থানীয় সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। রেকর্ড করা তাদের ফোনকলের অডিও সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।এতে ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক:মোঃনাজমুল হক মণি
সহকারী সম্পাদক:মোহাম্মদ ইউসুফ
প্রধান কার্যালয়:আশুলিয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ
যোগাযোগ: +880 01911121791
© জনগণের বাণী | আইটি সহায়তাঃ সাব্বির আইটি